‘স্যালাইন এমপি-কে মানছি না’, শতাব্দীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন,তৃণমূলের এক অংশ।
সংবাদ অনুক্ষণ অনলাইন: বুধবার সকাল থেকে এ নিয়ে শোরগোল বীরভূমে। ওয়াকফ (সংশোধিত) আইনের বিরোধিতায় নেমে দলের সাংসদ শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধেই স্লোগান তৃণমূলের! বীরভূমের চার বারের সাংসদ শতাব্দীর দাবি, যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন, তাঁরা দলের কেউ বলে তিনি বিশ্বাস করেন না।ওয়াকফ (সংশোধিত) আইনের বিরোধিতায় সরব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। আগামী ১৬ এপ্রিল ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫-এর বিরুদ্ধে মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। তার আগে জায়গায় জায়গায় চলছে বিরোধীদের বিক্ষোভ। তেমনই একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন হয়েছিল বীরভূমের মুরারইয়ে। তৃণমূলের মিছিলে যোগ দেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। সেখান থেকেই বীরভূমের সাংসদ শতাব্দীর বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। বলা হয়, ‘‘স্যালাইন এমপি-কে মানছি না, মানব না।’’উল্লেখ্য, গত দুই লোকসভা নির্বাচনে মুরারই এলাকা থেকেই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন চার বারের সাংসদ শতাব্দী। সংসদে যে দিন ওয়াকফ বিল পাশ হয়, সে দিন তিনি উপস্থিত ছিলেন না। পরে নিজের অনুপস্থিতির কারণ হিসাবে তৃণমূল সাংসদ জানান, তিনি অসুস্থ ছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। স্যালাইনও নিতে হয়েছে। যদিও সাংসদের এই ব্যাখ্যায় তাঁর দলেরই একাংশ যে খুশি নন, সেটাই দেখা গেল মুরারইয়ে। যে মিছিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল দাহ করা হয়, সেখানে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধেও স্লোগান ওঠে।এ নিয়ে শতাব্দীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আনন্দবাজার ডট কমকে তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি না, যাঁরা এমন স্লোগান দিচ্ছেন, তাঁরা দলের কেউ। দলকে যাঁরা ভালবাসেন তাঁদের কেউ এমন স্লোগান দেবেন না।’’ পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, আগের থেকে তিনি কিছুটা সুস্থ আছেন। সাংসদ হিসাবে নিজের কাজকর্ম করে যাচ্ছেন।তৃণমূলের ওই মিছিলের নেতৃত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুরারই-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বিনয়কুমার ঘোষ। সাংসদের বিরুদ্ধে স্লোগান নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘ছেলেপিলেদের কেউ হয়তো বলে ফেলেছে। এটা বড় করে ধরলে হবে না। এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’’