সংবাদ অনুক্ষণ অনলাইন সংবাদদাতা, বহরমপুর: বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। খুব শীঘ্রই নির্বাচনী প্রচারে নামবেন। সে জন্য ব্যস্ততা তুঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। হিন্দিভাষী ইউসুফ কী ভাবে বাংলায় প্রচার করবেন এবং কোথায় কোথায় প্রচার করবেন, তা নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ‘রুট ম্যাপ’ও। এবং বাংলার খাবারের সঙ্গে ইউসুফ কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন, সে কথা মাথায় রেখে গুজরাতি রান্নায় পারদর্শী, এমন বাবুর্চিকে বহরমপুরে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেও তৃণমূল সূত্রে খবর।
অল্প সময়ের মধ্যে যাতে তিনি বেশি এলাকায় প্রচার সারতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই আগেভাগে ওই ‘রুট ম্যাপ’ তৈরি করা হচ্ছে। তাই ইউসুফ এবং আমজনতার মধ্যে যোগাযোগ সমন্বয়ে যাতে ভাষাগত কোনও সমস্যা না তৈরি হয়, তাই বিধানসভাভিত্তিক দোভাষীদের একটি দল গঠন করা হচ্ছে বলেও তৃণমূল সূত্রে খবর। তৃণমূল সূত্রে খবর, এমনই আরও অনেক বিশেষ পরিকল্পনার মাধ্যমে রাজনীতিতে নবাগত ইউসুফের প্রচারে চমক দিতে চাইছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরের প্রার্থী হিসাবে ইউসুফের নাম ঘোষণার পর থেকেই দলের নির্বাচনী কমিটি প্রার্থীপ্রচার নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোপন বৈঠক সেরেছেন। ব্রিগেডের বৈঠক শেষে তৃণমূলের রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্ব জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার (ওরফে ডেভিড)-কে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মোতাবেক, জেলার কোর কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বহরমপুর কেন্দ্রে প্রচার কৌশল নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক সেরে নিয়েছেন জেলা সভাপতি।
সূত্রের খবর, ইউসুফ বহরমপুরে আসার পর কোথায় উঠবেন, ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোথায় থাকবেন, সে বিষয়েও মঙ্গলবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলার দুই নেতাকে। ইউসুফের থাকার জন্যও জায়গা দেখা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব বলেন, ‘‘সারা পৃথিবীতে পরিচিত ইউসুফ পাঠান। তাই তাঁর নতুন করে প্রচারের প্রয়োজন নেই। তবে ভাষাগত সমস্যা যাতে না হয়, সেজন্য আমাদের কর্মীরা থাকবেন। থাকার জন্য একটি ঘর দেখা হচ্ছে। তার খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও আমাদের নজর রয়েছে।’’
previous post