সংবাদ অনুক্ষণ অনলাইন: শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এবারের আইপিএল। আজ শনিবার অভিযান শুরু করছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ঘরের মাঠে ইডেনে। গৌতম গম্ভীরের প্রত্যাবর্তন, এক বছর অনুপস্থিতির পর শ্রেয়স আয়ারের ফিরে আসা, আইপিএলের অন্যতম দুই দামি ক্রিকেটার মিচেল স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্সের দ্বৈরথ— শনিবার ইডেন গার্ডেন্স সাক্ষী থাকতে চলেছে অনেক কিছুরই। প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
মুখোমুখি লড়ায়ে কলকাতার রেকর্ড ভালো হলেও, এ বার হায়দরাবাদ দলে অনেক বদল রয়েছে। কলকাতায় দু’বছর আগে খেলে যাওয়া প্যাট কামিন্স সে দলের অধিনায়ক। এ ছাড়াও ট্রেভিস হেড, হেনরিখ ক্লাসেন, এডেন মার্করাম, ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গের মতো ক্রিকেটার রয়েছেন। দেশীয়দের মধ্যে ভুবনেশ্বর কুমার, উমরান মালিক, রাহুল ত্রিপাঠীরা রয়েছেন।
কেকেআরের হয়ে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ থাকবে নিঃসন্দেহে স্টার্ককে নিয়ে। আইপিএলের ইতিহাসে নজির ভাঙা ক্রিকেটার ৯ বছর পর আইপিএলে ফিরে কেমন খেলেন তা দেখতে মুখিয়ে অনেকেই। পাওয়ার প্লে এবং ডেথ ওভারে তাঁর বোলিং কেমন হয় তা আলোচনার বিষয়। কেকেআরের পেস বিভাগে স্টার্ক এবং আন্দ্রে রাসেলই কেবল অভিজ্ঞ। তাঁদের কোনও বিকল্প খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এখন দেখার, গোটা প্রতিযোগিতায় তাঁদের কী ভাবে ব্যবহার করা হয়।
মিচেল স্টার্ক বাদে দলে সে রকম ভাল জোরে বোলার নেই। কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়স অবশ্য আত্মবিশ্বাসী। ম্যাচের আগে বলেছেন, “দলের বোলিংকে বিভাগকে দেখলে বুঝতে পারি কত অভিজ্ঞতা রয়েছে। দুটো আইপিএল খেলা মানেই অভিজ্ঞতা থাকবে। সবে মরসুমের শুরু। কার মানসিকতা কী রকম সেটা বোঝার সময় এখনও রয়েছে। বেশি ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই না।” স্টার্ককে নিয়ে তিনি বলেছেন, “স্টার্ক আসায় অনেক সুবিধা হয়েছে। পাওয়ার প্লে, মাঝের ওভার বা শেষের দিকেও ওকে ব্যবহার করতে পারি। বিশ্বকাপ জিতে অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে এসেছে। অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তরুণদের জন্যেও ভাল।”
কেকেআরের ব্যাটিং অর্ডার বেশ শক্তিশালী। রহমানুল্লা গুরবাজ় না ফিল সল্ট কে ওপেনিংয়ে খেলেন তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। তবে বেঙ্কটেশ আয়ার আর এক ওপেনার হতে চলেছে। মাঝের দিকে নীতীশ রানা, শ্রেয়স এবং রিঙ্কু সিংহকে দায়িত্ব নিতে হবে। গম্ভীরের দল নিঃসন্দেহে ইডেনে ঘরের পরিবেশ কাজে লাগাতে চাইবে। দলে সুনীল নারাইন, বরুণ চক্রবর্তী এবং সূযশ শর্মার মতো স্পিনার থাকায় বল যে ঘুরবে, এটা ধরেই নেওয়া যায়।
একগাদা ওপেনারের ভিড়ে কারা শনিবার নামবেন সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন শ্রেয়স। বলেছেন, “দু’জনেই দারুণ ব্যাটার। সব দেশে গিয়ে টি২০ খেলে। পারফরম্যান্সও দুর্দান্ত। এখনও পরিকল্পনা করিনি। এর পর টিম মিটিং রয়েছে। সেখানেই ঠিক হবে কে খেলবে। কালকেই আপনারা জানতে পারবেন।”
তবে হায়দরাবাদ ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। বছরের পর বছর ধরে ব্যর্থতাই তাদের সঙ্গী। মার্করামকে অধিনায়ক করেও লাভ হয়নি। বদলে আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি ক্রিকেটার কামিন্সকে কিনেছে তারা। কিনেই অধিনায়ক করে দিয়েছে। দলে মারকুটে ব্যাটারদের ভিড়। তাঁদের মধ্যে কাদের খেলানো হবে সেটা চিন্তার কারণ হতে পারে। ডেথ ওভারে কোনও একজনকে রান তোলার দায়িত্ব নিতে হবে।
বোলিং বিভাগেও ভারসাম্য রয়েছে। কামিন্স এবং ভুবনেশ্বর কুমার থাকছেন। সঙ্গী হতে পারেন টি নটরাজন বা উমরান মালিকের মধ্যে কোনও একজন। তবে ফজলহক ফারুকির খেলার সম্ভাবনা কম। স্পিন বিভাগে ওয়াশিংটন সুন্দর এবং হাসরঙ্গের খেলার কথা। শ্রেয়স আয়ারের নাইটদের সামনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্যাট কামিন্সের দলের বিরুদ্ধে কলকাতার ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে।
ম্যাচের বাড়তি প্রাপ্তি হতে পারে শাহরুখ-দর্শন। সরকারি ভাবে কিছু জানানো না হলেও শোনা যাচ্ছে, শাহরুখ ইডেনের প্রথম ম্যাচে থাকবেন।