মধ্যরাতে কলকাতা শহরে মেয়েদের ‘রাত দখলের’ কর্মসূচি চলছিল আর সেই সময় এক দল দুষ্কৃতীর দল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে।
সংবাদ অনুক্ষণ অনলাইন : মধ্যরাতে কলকাতা শহরে মেয়েদের রাতদখলের কর্মসূচিতে মোমবাতি হাতে নিয়ে একটি পদযাত্রা করছিল সেই পদযাত্রার সামনের অংশ আরজি কর হাসপাতালের গেট ক্রোশ করে সেই পদযাত্রার পিছন থেকে এক দল দুষ্কৃতী আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। আধ ঘন্টার বেশি সময় ধরে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের বাইরে ও ভিতরে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চও ভাঙচুর করা হয়। প্রথম দিকে কলকাতা পুলিশ প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পারেননি। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। নামানো হয় র্যাফ। তারা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে দুঃকৃতীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তার আগেই ভাঙচুর করা হয় পুলিশের একাধিক গাড়ি। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি বলেন, ‘‘যারা এই কাজ করেছে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ক্রুদ্ধ।’’
রাত তখন প্রায় সাড়ে ১২টা। আরজি করের দিকে তখন এগোচ্ছে মেয়েদের রাতদখলের কর্মসূচির একটি মিছিল। ঠিক সেই সময়েই অভিযোগ ওঠে, একদল দুষ্কৃতী আরজি করের জরুরি বিভাগের বাইরে তাণ্ডব চালাচ্ছে। তাদের কয়েক জনের হাতে রড এবং লাঠি ছিল বলে অভিযোগ। জরুরি বিভাগের বাইরের কোলাপসিবল গেট ভেঙে উপড়ে ফেলা হয়। জরুরি বিভাগের ভিতরেও ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, হাসপাতাল চত্বরে রাখা একের পর এক বাইকে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙা হয় পুলিশের একাধিক গাড়ি ও বাইক। পুলিশের বসানো সমস্ত গার্ড রেল ফেলে দেওয়া হয়। আক্রমণ চালানো হয় আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চেও। সেখানেও তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই সময় এক মহিলা আন্দোলকারীকে হাত জোড় করে হামলাকারীদের মঞ্চ না-ভাঙার অনুরোধ জানাতেও দেখা গিয়েছে। গোটা সময় জুড়ে চলে ইটবৃষ্টি।
এর পরেই পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র্যাফ। তারা এসে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। ইতিমধ্যেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। র্যাফ নামানো হয়েছে। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। কাঁদানে গ্যাসও ছোড়া হয়েছে। হামলাকারীদের একাংশকে তাড়া করে এলাকাছাড়া করেছে পুলিশ। তার পর পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
হাসপাতালের একাংশের অভিযোগ, পুলিশ শুরুতে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। হঠাৎ হামলার ঘটনায় কেন দ্রুত পদক্ষেপ করল না পুলিশ? এত ক্ষণ ধরে কী ভাবে তাণ্ডব চালালেন ‘দুঃকৃতীরা’।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলাপাড় গোটা রাজ্য। তার প্রতিবাদেই বুধবার রাত দখলের কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। তার মাঝেই আরজি করে হামলার ঘটনায় নানাবিধ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারা এই হামলা চালিয়েছেন?