“আজ সাড়ে বারোটার সময় আমি একটি চিঠি পাই। সেই চিঠির ভিত্তিতে আমি বিষয়টি জানতে পারি। আমি জেনারেল বডির সদস্যদের ফোন করেছি। দ্রুত জিবি সভা ডাকার কাজ চলছে। জিবি যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে”
সংবাদ অনুক্ষণ অনলাইন : মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া হাজী এ কে খান কলেজে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও অশালীন আচরণের অভিযোগ এক ছাত্রীর। এক State Aided College Teacher (SACT) শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে এসেছে মঙ্গলবার । পুজোর ছুটির পর মঙ্গলবার খোলে কলেজ। কলেজ খুলতেই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা করেছেন এক ছাত্রী। কলেজের অন্যান্য ছাত্রীরাও এদিন কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মিঠুন শেখ নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। কলেজের ছাত্রীদের দাবি, এই প্রথম নয়। আগেও একাধিক ছাত্রীকে হেনস্থা করেছেন ওই শিক্ষক। কার্যত আতঙ্কে ছাত্রীরা। তবে এদিন অভিযুক্ত শিক্ষক কলেজে আসেননি। ফোনেও পাওয়া যায় নি ওই শিক্ষককে। যদিও ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ ড. গৌতম কুমার ঘোষ জানান, আগে লিখিত বা মৌখিক ভাবে কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি। মঙ্গলবার কলেজ খুলতে প্রথম অভিযোগ পান তিনি ।
কলেজ কতৃপক্ষ ঘটনায় দাবি করেন –
কলেজের অধ্যক্ষ ড. গৌতম কুমার ঘোষ বলেন, “আজ সাড়ে বারোটার সময় আমি একটি চিঠি পাই। সেই চিঠির ভিত্তিতে আমি বিষয়টি জানতে পারি। আমি জেনারেল বডির সদস্যদের ফোন করেছি। দ্রুত জিবি সভা ডাকার কাজ চলছে। জিবি যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে” ।
কলেজে কী অভিজ্ঞতা ছাত্রীদের ?
অভিযোগকারী ছাত্রী অভিযোগপত্রে লিখেছেন, “ অত্যন্ত দুঃখ ও আতঙ্কের সাথে জানাচ্ছি যে, এডুকেশন বিভাগের শিক্ষক মিঠুন সেখ স্যার বিগত কিছুদিন ধরে আমার প্রতি অশালীন এবং অপ্রীতিকর আচরণ করে চলেছেন। তিনি আমার গায়ে অস্বাভাবিকভাবে হাত দিচ্ছেন এবং ফোন করে আপত্তিকর মন্তব্য করছেন”। ছাত্রীর দাবি, বিষয়টি কাউকে জানালে ক্ষতি করার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক ছাত্রী বলেন, “ আমার সামনেই ওর ( নিগৃহীতা ছাত্রী) গায়ে হাত দেয়। ওই শিক্ষক মাঝেমধ্যেই অনেক ছাত্রীর গায়ে হাত দেন। আমি চাই এই বিচার হোক। শাস্তি দেওয়া হোক। এক ছাত্রী বলেন, “ অনেক ভাবে বাজে মন্তব্য করা হয়েছে। বলা হচ্ছে তার সঙ্গে সময় কাটালে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় নম্বর বেশি দেওয়া হবে। বলা হচ্ছে, অন্য ছাত্রীর সঙ্গে “সেটিং” করিয়ে দিতে”।