প্রায় ১০০ স্টল এবারের বই মেলায়। প্রথম দিনেই এদিন মেলা প্রাঙ্গণে আনাগোনা থাকে পাঠকদের। বিভিন্ন ধরনের বই নেড়েচেড়ে দেখলেন অনেকেই।
সংবাদ অনুক্ষণ অনলাইন : প্রতি বারের মতো এবারেও বহরমপুরের ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে সাজো সাজো রব। বহু প্রতীক্ষিত বই মেলার আসর এই ময়দানের একাংশে। ‘ভাষা দিয়ে সম্প্রীতি গড়ব’- এই আঙ্গিকেই মুর্শিদাবাদ জেলা গ্রন্থাগারের আয়োজনে বুধবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো ৪৪ তম মুর্শিদাবাদ জেলা বই মেলার। ১১ই ডিসেম্বর থেকে ১৭ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বই মেলা। ফিতে কেটে বই মেলার উদ্বোধন করলেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। উদ্বোধন পর্বে হাজির ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সূর্য প্রতাপ যাদব , জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক, সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট জনেরা। বই মেলার উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে বই কেনার আহ্বান জানা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।
জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা বিভাগের প্রদর্শনী কক্ষ রয়েছে। নতুনত্বের ছোঁয়ায় সাজানো হয়েছে মেলার পরিকাঠামো। বই মেলা প্রাঙ্গণের প্রবেশ দ্বারের কাঠামোও এবছর নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। স্টল সাজানো হয়েছে মুনি ঋষি, বিপ্লবি, স্বাধীনতা সংগ্রামী, সাহিত্যিক, কবি, লেখকদের ছবিতে। গত বছর যেখানে প্রায় ৯০ টি স্টল ছিল মেলায়, সেই সংখ্যা এবছর বেড়ে হচ্ছে ১০০।
কী জানালেন মুর্শিদাবাদ জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক – বই মেলা নিয়ে আশাবাদী মুর্শিদাবাদ জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক মনোঞ্জয় রায়, বলেন ” মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্ত, বহরমপুর ছাড়াও কলকাতা, বীরভূম, বর্ধমান, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্টল থাকবে মেলায়। প্রতিদিন থাকছে সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন। ১ কোটি ৩৫ লক্ষ্য টাকার বই বিক্রি হয়েছিল ২৩ এর বই মেলায়। ২০২৪ এ সেই রেকর্ড ভাঙবে আশা রাখছি”।
শীতের আমেজে শহরে বই মেলা যেন মিলন মেলার রূপ নেয়। প্রতি বছর বহরমপুরে বইমেলায় ভিড় জমে পাঠকদের। নামকরা প্রকাশক থেকে নতুন নতুন পাবলিশার্সররাও বই মেলায় অংশ নেন। এবছর বই মেলা নতুন কী রেকর্ড গড়ে! প্রথম দিনেই এদিন মেলা প্রাঙ্গণে আনাগোনা থাকে পাঠকদের। বিভিন্ন ধরনের বই নেড়েচেড়ে দেখলেন অনেকেই।