রবিবার দুপুরে বাঁসের ব্রিজ ভেঙে যাত্রীবাহী গাড়ি পরল নদীতে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলায়।এই দুর্ঘটনায় গাড়ির চালক-সহ পাঁচজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
সংবাদ অনুক্ষণ ডেস্ক : বাঁশের সাঁকো ভেঙে সোজা নদীতে পড়ল যাত্রীবাহী গাড়ি! রবিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের হজবিবিডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জাফরপুর ঘাটের কাছে ব্রাহ্মণী নদীর উপর বাঁশের সাঁকো ভেঙে নদীতে পড়ে গেল একটি যাত্রীবাহী গাড়ি। রবিবার দুপুরের এই দুর্ঘটনায় গাড়ির চালক-সহ পাঁচজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। শীতের মরশুমে নদীতে জল কম থাকায় কোনক্রমে বেঁচে যান গাড়িতে থাকা যাত্রীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাড়িটির ভেতরে চালক-সহ কম করে পাঁচ জন যাত্রী ছিলেন। বেশ কিছুটা উপর থেকে নীচে পড়ে যাওয়ায় যাত্রীরা কম বেশি আহত হন। স্থানীয়রা তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে নিকটবর্তী পাঁচগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। নদী থেকে গাড়িটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে খড়গ্রাম থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রাহ্মণী নদীর দুই পাড়ে রয়েছে খড়গ্রাম থানার যাদবপুর গ্রাম এবং নবগ্রাম থানার অন্তর্গত জাফরপুর গ্রাম। যাতায়াতের সুবিধার জন্য বেশ কয়েকবছর আগে নদীর উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি হয়। সাঁকোটি বাঁশের হওয়ায় তার উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শুধু পায়ে হেঁটে পারাপারের ক্ষেত্রে ছিল অনুমতি। কিন্তু নিষেধ সত্ত্বেও বাঁশের সাঁকো দিয়েই বিপজ্জনক ভাবে চলত গাড়ি পারাপার। রবিবার দুপুরে ঘটে গেল দুর্ঘটনা। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীবাহী গাড়ি দুর্বল বাঁশের সাঁকো দিয়ে যেতেই মাঝ পথে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সাঁকো। নদীতে জল কম থাকায় প্রাণনাশের ঘটনা না ঘটলেও প্রশ্ন উঠছে চূড়ান্ত উদাসীনতা, গাফিলতি নিয়ে। ক্ষোভ উগড়ে দিলেন স্থানীয়রা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ঝিল্লি অঞ্চলের বাসিন্দাদের এত অসুবিধা সত্ত্বেও কেন স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ হয়না? কাদের গাফিলতি? প্রাণ হানি ঘটলে দায় কার? তার সঙ্গে গ্রামবাসীরা আরো জানান ভারী গাড়ি এই বাঁসের সাঁকো দিয়ে পারাপার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করায় উচিত। বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে ভারী গাড়ি পারাপার করা যুক্তিযোগ্য হয় বলে মনে হয় না। তাই প্রশাসনের অতি দ্রুততার সাথে এই বাড়ি গাড়ি বাঁসের সাকোর উপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করা।