মাঠে, পুকুরে, খালবিলে জল জমে আছে। সেখানে কৃষকেরা পাট জাগের ব্যাবস্থা করছিলেন। সেখানেই অসাবধানতা বসত ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ মৃতদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের ব্যাবস্থা করেছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা, ইসলামপুর, মুর্শিদাবাদ : মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরের হেড়ামপুর পঞ্চায়েতের গোয়াস মাঠপাড়ায় জলে ডুবে তিন বালিকার মৃত্যু। মৃত তিনজনের মধ্যে দুজন খুড়তুতো বোন। অপরজন প্রতিবেশী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত তিন বালিকার নাম তামান্না খাতুন (৭), মাবিয়া খাতুন (৭) এরা খুড়তুতো বোন অন্যজন জার্জিসা খাতুন (৯) দুঃসম্পর্কের আত্মীয়। ওই ঘটনায় এলাকার মানুষ শোকার্ত।
মৃত তামান্নার বাবা আলমগীর হোসেন জানান, “প্রথমে ওরা আমার সঙ্গে মাঠে এসেছিল পাটের জাগ দেওয়া দেখতে। বাড়ি যাওয়ার সময় ওদের ডেকে নিয়ে যাই আমি। কিন্তু পরে কখন যে আবার ওরা মাঠে এসে পুকুরের ধারে চলে যায় বুঝতে পারিনি।” তিনি জানান, “আমার একটা ভাগ্নেও ছিল ওদের সঙ্গে, কিন্তু ও জলে নামেনি। ওরা খেলা করতে করতে পা পিছলে জলে ডুবে যায়।”
জানা গিয়েছে, ওদের সঙ্গে থাকা ওই ভাগ্নে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে বাড়িতে খবর দিলে বাড়ির লোকজন এসে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। প্রথমে তাদের পাওয়া যায়নি। পরে আরও লোকজন এসে পুকুরে নেমে ডুব দিয়ে খুঁজে একের পর এক তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। পুলিশ জানায় মাঠে, পুকুরে, খালবিলে জল জমে আছে। সেখানে কৃষকেরা পাট জাগের ব্যাবস্থা করছিলেন। সেখানেই অসাবধানতা বসত ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ মৃতদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের ব্যাবস্থা করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টির জল বাড়লেই এলাকার বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ে প্রতি বছরই বহু শিশু ও কিশোর-কিশোরীর জলে ডুবে মৃত্যু হয়। এলাকায় এ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা দরকার। হেড়ামপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সবুর আলি ওই তিন বালিকার মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেন। পাশাপাশি জানান, “বৃষ্টির মরশুমে গ্রাম বাংলার পুকুর খালবিলে জল জমে থাকবে এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। অভিভাবকদের উচিৎ এই সময়ে তাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের উপর নজর রাখা।”